ভীষণ অসুস্থ স্টিফেন হকিং
২১ এপ্রিল ২০০৯সোমবার খুবই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী৷ ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি মঙ্গলবার জানিয়েছে, হকিং হাসপাতালে৷ তিনি বেশ অসুস্থ বোধ করলে সোমবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছিল৷
স্টিফেন হকিং-এর জন্ম ১৯৪২ সালের আট জানুয়ারি, লন্ডনে৷ বেড়েও উঠেছেন সেই লন্ডনেই৷ সাতষট্টি বছর বয়েসী এই বিজ্ঞানী ষাটের দশক থেকেই 'মোটর নিউরন ডিজিজ' নামের এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত৷ হার না মানা এক যোদ্ধা তিনি৷ অচল দেহ৷ কিন্তু অচল নয় তাঁর মস্তিষ্ক৷
হকিং পড়েছেন অক্সর্ফোডে৷ ১৯৭৯ সাল থেকে ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব এপ্লাইড ম্যাথেমেটিক্স এন্ড থিওরেটিকাল ফিজিক্সের লিউকাসিয়ান প্রফেসর হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জয়যাত্রার৷ এ পদে আসীন ছিলেন আরেক দিকপাল বিজ্ঞানী আইজাক নিউটন৷ তারপর সেই বইটি, এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম, বদলে দিয়েছে অনেক বৈজ্ঞানিক ধ্যান ধারণা৷ ১৯৮৪ সালে বের হয় এই সাড়া জাগানো বইটি৷ এর এক বছর পর অর্থাৎ ১৯৮৫ সাল৷ সময়টা তখন অন্যরকম৷ কথা বলতে পারছেন না হকিং৷ এবার চিকিৎসরা তাঁকে নিয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়লেন৷ সঙ্গে অন্য বিজ্ঞানীরাও৷ বানানো হলো বিশেষ সফটওয়্যার৷ এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে তিনি কম্পিউটারের সহায়তায় তাঁর চিন্তা আর কথাবার্তা প্রকাশ করতে পারেন৷ এই ব্যবস্থার নাম দেয়া হয়েছে কম্পিউটার ভয়েস৷ আর এর মাধ্যমেই তিনি প্রতিনিয়ত সৃষ্টির নতুন নতুন তত্ত্ব আবিস্কার করে যাচ্ছেন৷
২০০৮ সালে অর্থাৎ গত বছর তাঁর এক সাক্ষাৎকার বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল৷ ভাবিয়ে তুলেছিল সবাইকে নতুন করে৷ সিএনএনকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হকিং বলেছিলেন, যদি মানব প্রজাতি পরবর্তী ২০০ বছর টিকে থাকতে পারে, তাহলে তারা কিভাবে মহাকাশে বাস করতে হয় তা শিখতে পারবে আর তাতে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে৷ তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মানুষের ভবিষ্যৎ মহাকাশে৷
প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক