ভালো ঘুমের জন্য যা প্রয়োজন
আপনার মনে হতে পারে ঘুমানোর জন্য সবধরনের প্রস্তুতি আপনি নিয়ে নিয়েছেন, কিন্তু ঘুমাতে গিয়ে দেখলেন শান্তিতে ঘুম আসছে না৷ তাহলে ছবিঘরে চোখ রাখুন৷
কোলবালিশ
বেশিরভাগ মানুষ পাশ ফিরে ঘুমাতে পছন্দ করেন৷ এতে দুই হাঁটুতে ঘষা লাগে এবং পশ্চাৎদেশও কাত হয়ে থাকে৷ এর ফলে হাঁটুতে ব্যথা হয়৷ তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো দুই হাঁটুর মাঝে একটা ছোট বালিশ রাখা, যাকে আমরা কোলবালিশ বলি৷ এর ফলে পশ্চাৎদেশের অবস্থান ঠিক থাকে এবং হাঁটুতে ঘষা লাগে না৷
তোশকের অবস্থান বদলানো
ভালো ঘুমের জন্য তোশকের অবস্থানটা ঠিক হওয়া খুব জরুরি৷ ঘাড় এবং তোশকের মধ্যে ঘুমানোর সময় যদি তিন আঙুলের ব্যবধান থাকে, তাহলে এটা আরামদায়ক হয় না৷ প্রতি ছয় মাসে তোশক উল্টানো উচিত৷ যদি ঘাড়ে বা শরীরে কোনো ব্যথা হয়, তাহলেও তোশক উল্টে ঠিকঠাক করে দেয়া ভালো৷
আকস্মিক শব্দ
রাতের বেলায় কিছু শব্দ আপনার ঘুমের ব্যঘাত ঘটাতে পারে৷ যেমন হঠাৎ রেলগাড়ির শব্দ৷ কিন্তু প্রতিদিন একই সময়ে শব্দটা হলে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যান৷ আবার হঠাৎ বিড়াল বা কুকুর ডেকে উঠলে আপনার ঘুম ভেঙে যায়৷ এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো একটি অডিও রেকর্ড বাজানো, যেখানে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ তরঙ্গ প্রবাহিত হয়৷
ঘুমানোর আগে বাতি নেভানো
ঘুমানোর জন্য মেলাটোনিন হরমোন প্রয়োজন হয়৷ ভালো ঘুমের জন্য শুতে যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে আলো নেভানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এছাড়া সবধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি (যেমন: ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি) বন্ধ করে রাখা উচিত৷
অতিরিক্ত খাওয়া
গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত খাওয়ার পর মানুষের কখনোই ভালো ঘুম হয় না৷ এর কারণ পাকস্থলী এতটা ভরা থাকে যে মস্তিষ্ক দুঃস্বপ্নের জন্ম দেয়৷
কম্পিউটারের ব্যবহার না
গবেষণার তথ্য মতে, ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে কম্পিউটার ব্যবহার করা উচিত না৷ কম্পিউটার, ট্যাবলেট ও স্মার্টফোনের ব্লু লাইট মেলাটোনিন হরমোনকে দমিয়ে দেয়, ফলে আপনার স্বাভাবিক ঘুম চলে যায়৷ আর একটা বিষয় হলো মেলাটোনিনের ঘাটতি হলে স্হূল বা মোটা হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়৷