বিদ্যুৎ পানি ও গ্যাস সংকটে নাকাল ঢাকাবাসী
২৪ এপ্রিল ২০০৯একজন গৃহিণী জানান, বাইরে বের হলে প্রচন্ড তাপদাহে পুড়তে হয়, আর ঘরে ফিরলে দেখি বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই৷
শুধু রাজধানী ঢাকা নয়. সারাদেশে বিদ্যুতের দুর্ভোগ অসহনীয় হয়ে উঠছে৷ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ৷ ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে৷ এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গ্যাস ও পানি সংকট৷ রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকাতেই এখন গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না৷ আর পানি নিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পানির পাম্পগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী৷ দু'একটি এলাকায় যেটুকু পানি পাওয়া যাচ্ছে তাও নোংরা আর দুর্গন্ধযুক্ত৷
প্রচন্ড তাপদাহ ও দূষিত পানি পান করে নানা ধরনের রোগব্যাধিতে আত্ক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই৷ বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি৷ রাজধানীর একমাত্র কলেরা হাসপাতাল আইসিডিডিআরবিতে এখন আর কোন ঠাঁই নেই৷ প্রতিদিনই সহস্রাধিক রোগী এখানে ভর্তি হচ্ছে৷ শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আবদুল্লাহ শাহরিয়ার বললেন, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে শিশুরা শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, গ্রীষ্মকালীন ডায়রিয়া, গালফোলা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে৷ শুধু দরিদ্র নয়, ধনী পরিবারের শিশুরাও এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে৷
ভয়াবহ তাপদাহ আর বিদ্যুৎ পানি সংকটে নগরবাসী যখন একটু বৃষ্টির প্রতীক্ষায় তখন আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শিগগিরই বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই৷ তবে তাপদাহ কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা৷ আবহাওয়াবিদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, গত ৫ দিন ধরে এই তাপদাহ শুরু হয়েছে৷ আগামী তিন দিন পর বৃষ্টি হতে পারে বলে আমরা আশা করছি৷ সঙ্গে দেখা দিতে পারে কালবৈশাখী ঝড়৷
প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক