বার্লিন প্রাচীরকে ঘিরে শিল্পকর্ম
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে গেলে বার্লিন প্রাচীর নিয়ে অনেক শিল্পকর্ম চোখে পড়বে৷ তার কয়েকটি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে এই ছবিঘরে৷
‘ইস্ট সাইড গ্যালারি’
বার্লিন প্রাচীরের পতনের পর ১৯৯০ সালে ২১ দেশের ১১৮ জন শিল্পীর উদ্যোগে এই গ্যালারির সৃষ্টি হয়৷ অরিজিনাল বা মূল বার্লিন প্রাচীরের প্রায় ১.৩ কিলোমিটার অংশজুড়ে থাকা এই গ্যালারিতে অনেক চিত্রকর্মের দেখা পাওয়া যায়৷
রাজনৈতিক ও অবৈধ
মূল বার্লিন প্রাচীরের এই অংশটির নাম ‘হিন্টারলান্ডমাওয়ার’৷ এখানে কয়েকদিন পরপর নতুন দেয়ালচিত্র অঙ্কন করা হয়, যার বিষয় কখনও কখনও রাজনৈতিক হয়ে থাকে৷ তবে এই দেয়ালে আঁকার কাজটা কিন্তু অবৈধ৷ তাই শিল্পীদের মাঝেমধ্যে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয়৷
আশ্চর্য শিল্পকর্ম
পশ্চিম বার্লিনের সাবেক বাসিন্দা ও পূর্ব জার্মানির নাগরিকদের মধ্যে যাঁদের ভিসা বা বিশেষ ‘পাস’ ছিল, তাঁরা এই সেতু দিয়ে জার্মানির অভ্যন্তরীণ সীমানাটা পার হতেন৷ শিল্পী গাব্রিয়েল বাশ এই সেতুতে ‘গোল্ডেন ওয়েস্ট’ নামের একটি চিত্রকর্ম সৃষ্টি করেছেন, যেখানে সে সময়ে সীমান্ত পার হওয়া নাগরিকদের আশা প্রতিফলিত হয়েছে৷
মাঝখানে প্রাচীর
বর্তমানের যে বার্লিন শহর, তার একেবারে মাঝখান দিয়ে বার্লিন প্রাচীর চলে গিয়েছিল৷ ১৯৯০ সালে সেখানে ‘পার্লামেন্ট অফ ট্রিস’ নামের একটি চিত্রকর্ম তৈরি করা হয়৷ মূল প্রাচীরের এই অংশে নিয়ন্ত্রণ, সংঘাত ও মুক্তি বিষয়ক নানা ছবি স্থান পেয়েছে৷
১৫ মিটার উঁচু চিত্রকর্ম
গত শতকের আশির দশকে বার্লিন-ক্রয়েৎসব্যার্গ এলাকায় বাস করতেন শিল্পী ইয়াদেগার আসিসি৷ সে সময় বার্লিনের ছবি কেমন ছিল সেটা দেখা যাচ্ছে ১৫ মিটার উঁচু এই চিত্রকর্মে৷ এর দেখা পাওয়া যাবে বার্লিনের বিখ্যাত ‘চেকপয়েন্ট চার্লি’ এলাকায়৷
এক টুকরো বার্লিন প্রাচীর কেনা
চেকপয়েন্ট চার্লি এলাকার ‘ফ্রিডম পার্ক’ নামক স্থানে গেলে আপনি টুকরো টুকরো বার্লিন প্রাচীর দেখতে পাবেন যেগুলোর গায়ে অনেক শিল্পকর্ম রয়েছে৷ চাইলে সেগুলো কেনাও যাবে!
মানুষের অস্তিত্ব
জোনাথন বোরোফস্কি-র ‘মলিকিউল ম্যান’ নামক এই শিল্পকর্মটি স্প্রে নদীর মাঝে অবস্থিত৷ পূর্ব আর পশ্চিম জার্মানিকে আলাদা করেছিল এই নদী৷ ফলে স্প্রে নদীর মাঝে স্থাপিত ৩০ মিটার উঁচু ও ৪৫ টন ওজনের এই শিল্পকর্মটি (যেখানে তিনটি মানবদেহ পরষ্পরকে ধরে আছে) বিশেষ একটা অর্থ বহন করছে৷