বাজি পোড়ানো মানে টাকা পোড়ানো?
২৮ অক্টোবর ২০১৬বাজি পোড়ানোর মানে যে টাকা পোড়ানো, সেটা লোকমুখে বহুদিন ধরেই প্রচলিত৷ কিছু মানুষ অনেক দিন ধরেই এমনটি বলছেন৷ প্রুথি যেটা করেছেন, সেটিও হলিউড-বলিউডের একটি প্রথাসিদ্ধ পদ্ধতি: কোনো প্রবাদ-প্রবচনকে আক্ষরিক অর্থে নিলে কেমন হয়?
কাজেই ভিডিও ক্লিপটিতে প্রুথি রাস্তার ধারে সত্যি সত্যি টাকা পোড়াচ্ছেন, অর্থাৎ দেশলাই ধরিয়ে ফুটপাথের কানায় রাখা নোটে আগুন ধরাচ্ছেন, যেন সেগুলো পটকা কিংবা দোদোমা৷
পরিচিত এক ইয়ার-দোস্ত এসে স্বভাবতই প্রুথিকে জিজ্ঞাসা করছেন, তার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে কিনা, তাকে পাগলা গারদে পাঠাতে হবে কিনা, ইত্যাদি৷ উত্তরে প্রুথি বলছেন, ‘‘আর তোমার হাতে ওটা কি?'' সত্যিই দোস্তের হাতে কালিপটকার লম্বা প্যাকেট৷
‘‘তোমাকে দু'দিন ধরে দেখছি, তুমি এভাবে টাকার শ্রাদ্ধ করছ৷ তাহলে আমিই বা টাকা পোড়াবো না কেন?'' বলছেন প্রুথি৷ দিওয়ালির মানে শুধু বাজি পোড়ানো নয়৷ ঐ টাকা দিয়ে যদি কারো মুখে হাসি ফোটানো যায়, তবে সেটাই হলো দিওয়ালির মর্ম৷
ক্লিপের বাদবাকি অংশটায় সেভাবেই ‘দরিদ্রনারায়ণের সেবা' করছেন বরুণ প্রুথি৷ ক্লিপটির সার্থকতা এইখানে যে, দিওয়ালি বা অন্য কোনো উৎসবে অনর্থক বাজি পোড়ানোটা যে শুধু পয়সার অপচয় নয়, মানুষের কল্যাণ করার সুযোগেরও অপচয়, এই সহজ বাণীটিকে অত্যন্ত সহজ ও দ্ব্যর্থহীনভাবে অগণিত জনতার কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন বরুণ প্রুথি৷ হ্যাপি দিওয়ালি!
এসি/এসিবি