1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট

৩০ জুন ২০০৯

ক্রসফায়ার ও এনকাউন্টারের নামে বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না - চার সপ্তাহের মধ্যে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে সরকারের প্রতি আদেশ জারি করেছে সেখানকার হাই কোর্ট৷

https://p.dw.com/p/Idsj
ছবি: DPA

স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কথিত অভিজাত বাহিনী ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (ব়্যাব) -এর মহাপরিচালককে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আদেশের জবাব দিতে বলা হয়েছে৷

সোমবার বিকেলে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাষ্ট (ব্ল্যাস্ট)ও কর্মজীবী নারীর দায়ের করা এক জনস্বার্থ রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেয়৷

এই তিনটি মানবাধিকার সংগঠন গত ২১ জুন রিটটি দায়ের করে৷

বাংলাদেশে বিগত জোট সরকারের আমল থেকে এ অব্দি সেনা পরিচালিত অপারেশন ‘ক্লিনহার্ট'সহ বিভিন্ন অভিযানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কমপক্ষে এক হাজারের মতো মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ দুবছর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর নতুন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে এ ধরণের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর অঙ্গীকার করে৷ ‘ক্লিনহার্ট' অভিযানের পর সংসদে আইন করে এসময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচারের পথও রুদ্ধ করা হয়েছিল৷

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে এসব ঘটনা বন্ধের দাবি করে আসছিল৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এমনকি ব়্যাব ও সেনা প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ভেঙ্গে দেওয়ার দাবি করে৷

রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইফুর রশিদ সোমবার আদালতে শুনানিকালে বলেন, ২০০৪ সালে ব়্যাব গঠনের পর ব়্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ার এবং এনকাউন্টারে ৯৬৯ জন মানুষকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পর ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারের একই সাজানো কাহিনী বলা হয়েছে৷

সাইফুর বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের লংঘন৷ এছাড়া এ ধরণের হত্যাকাণ্ড সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রেরও পরিপন্থি৷

তিনি বলেন, ক্রসফায়ার ও এনকাউন্টারের নামে হত্যাকাণ্ড সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক মানবাধিকারের লংঘন৷

অপরদিকে সরকার পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান শুনানিতে বলেন, বর্তমান সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিপক্ষে৷ ক্রসফায়ারের নামে যেন কাউকে হত্যা করা না হয় সে বিষয়ে সরকার সতর্ক৷

প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক