জার্মানিতে উদ্বাস্তুদের থাকার ব্যবস্থা
২০১৫ সালে তিন লাখ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী জার্মানিতে আসবেন, বলে ধরে নিয়েছিল ফেডারাল অভিবাসন দপ্তর৷ এখন সে সংখ্যা সাড়ে চার লাখ হবার সম্ভাবনা৷ সেক্ষেত্রে উদ্বাস্তুদের থাকার ব্যবস্থা কোথায় হবে, তাই নিয়েই চিন্তা...
প্রাথমিক অভ্যর্থনা কেন্দ্রে প্রথম তিন মাস
রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে রাখার জন্য এই ‘রিসেপশান সেন্টারগুলি’ আছে – যেমন রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট রাজ্যের ট্রিয়ার শহরে৷ উদ্বাস্তুরা জার্মানিতে পৌঁছনোর পর তাঁদের সাধারণত এ ধরনের প্রাথমিক অভ্যর্থনা কেন্দ্রে রাখা হয়৷ সেখানে তিন মাস থাকার পর তাঁদের কোনো শহর কি জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷
টাউন হলে ক্যাম্পবেড
প্রাথমিক রিসেপশান সেন্টারগুলো পুরোপুরি ভর্তি, কাজেই সাময়িক বাসস্থান হিসেবে অন্যান্য ভবন কাজে লাগানো হচ্ছে৷ নর্থ রাইন ওয়েস্ট ফালিয়া রাজ্যের হাম শহরের টাউন হলে ৫০০ উদ্বাস্তুর থাকার আয়োজন করা হয়েছে৷ ৭০০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের হলটিতে বেড়া দিয়ে দিয়ে আলাদা আলাদা ‘ঘরের’ ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ প্রত্যেকটি ‘ঘরে’ ১৪টি ক্যাম্পবেড রাখা চলে৷
ক্লাশরুমে রাত্রিবাস
উদ্বাস্তুর স্রোতে শহরগুলি নাজেহাল! আখেন শহরকে গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ৩০০ উদ্বাস্তুকে রাখার ভার নিতে হয়৷ একমাত্র সমাধান: উদ্বাস্তুদের শোয়ার জন্য ইন্ডা গিমনাজিয়ুম নামের একটি স্কুলের ক্লাশরুমে ম্যাট্রেস পাতা৷
তাঁবুতে বাস
বর্তমানে জার্মানিতে ক্রমেই আরো বেশি সাময়িক উদ্বাস্তু শিবির সৃষ্টি করা হচ্ছে – তাঁবু গেড়ে৷ স্যাক্সনি আনহাল্ট রাজ্যের হালব্যারস্টাট শহরে এ ধরনের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প সৃষ্টি করে আরো অনেক বেশি উদ্বাস্তুদের রাখা সম্ভব হয়েছে৷
ড্রেসডেনের টেন্ট ক্যাম্প
উদ্বাস্তুদের জন্য একটি সুবিশাল টেন্ট ক্যাম্প বা ‘তাঁবু শিবির’ সৃষ্টি করা হয়েছে স্যাক্সনি রাজ্যের রাজধানী ড্রেসডেন শহরে৷ শৌচাগারের সামনে লম্বা লাইন পড়ে, খাবারের জন্যও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়৷ এখানে আপাতত ১৫টি দেশ থেকে আগত মোট এক হাজার মানুষের বাস৷ আগামীতে আরো শ’খানেক মানুষ এখানে থাকতে বাধ্য হবেন৷
কনটেইনারে বাস
তাঁবুর বদলে উদ্বাস্তুদের কনটেইনারে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কোথাও কোথাও৷ ট্রিয়ারে ২০১৪ সাল থেকেই এই পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে৷ আজ সেখানে এক হাজারের বেশি উদ্বাস্তু বাস করেন৷
উদ্বাস্তু আবাসের উপর আক্রমণ
বাডেন ভুর্টেনব্যার্গ রাজ্যের রেমকিঙ্গেন শহরে গত জুলাই মাসের ১৮ তারিখে একটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে৷ অজ্ঞাত আততায়ীরা যে বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়, সেখানে উদ্বাস্তুদের রাখার কথা ছিল৷ উদ্বাস্তুদের প্রতি এ ধরনের বিরূপ মনোভাব এখন অন্যত্রও পরিলক্ষিত হচ্ছে, বিশেষ করে জার্মানির পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে৷
নতুন আবাসন গড়ার কাজ চলেছে
উদ্বাস্তুদের বসবাসের জন্য একাধিক পৌর এলাকায় নতুন বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে, যেমন বাভেরিয়ার একেনটাল শহরে৷ এখানে মোট ৬০ জন মানুষ বাস করতে পারবেন৷ আগামী বছরের সূচনাতে এখানে প্রথম উদ্বাস্তুরা বসবাস করতে পারবেন, বলে আশা করা হচ্ছে৷