গ্রিসের সঙ্গে ঋণ চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদ
২৩ জুন ২০১৫অবশ্য জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷
তিন আন্তর্জাতিক দাতা – আইএমএফ, ইইউ ও ইসিবি-র সঙ্গে গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে গ্রিসের আলোচনা চলছে৷ বেইলআউট প্যাকেজের শেষ কিস্তির টাকা (৭.২ বিলিয়ন ইউরো) পাওয়ার শর্ত হিসেবে গ্রিসকে বিভিন্ন খাতে সংস্কার করার প্রস্তাব দেয় তিন দাতা৷ কিন্তু গ্রিসের বামপন্থি সরকার কয়েকটি বিষয়ে একমত হতে পারেনি৷ ফলে ইউরোজোন থেকে গ্রিসকে বের হয়ে যেতে হতে পারে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল৷ এই পরিস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাসেলসে ইউরোজোনের শীর্ষ নেতা ও আন্তর্জাতিক দাতাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেন৷ সেখানে গ্রিস নতুন প্রস্তাব দেয়৷ আর তাতেই আশার আলো দেখা শুরু করেছেন ইউরোজোনের বেশিরভাগ নেতা৷
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার গ্রিসের নতুন প্রস্তাব ‘বিশ্বাসযোগ্য' বলে মনে করছেন৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদও এখন গ্রিসের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন৷
তবে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল গ্রিসের নতুন প্রস্তাবকে ‘আরও আলোচনার জন্য ভালো শুরু' বলে মন্তব্য করেছেন৷ জার্মান অর্থমন্ত্রী অবশ্য গ্রিসের নতুন প্রস্তাবে নতুন কিছু পাননি৷
পরবর্তী পদক্ষেপ
বুধবার ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা আবার বৈঠকে মিলিত হবেন৷ এরপর বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে গ্রিসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে৷
নতুন প্রস্তাবে কী আছে
গ্রিসের বামপন্থি সরকার তাদের নতুন প্রস্তাবে অবসর নেয়ার সময় ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ৬৭ করার কথা বলেছে৷ এছাড়া আগেভাগে অবসর নেয়ার বিষয়টি বন্ধের উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছে৷ মূল্য সংযোজন কর ২৩ শতাংশ করা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধনীদের উপর বেশি করে কর আরোপের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে৷
দাতাদের সঙ্গে আলোচনায় যে ব্যাপারগুলোতে গ্রিস একেবারে একমত হতে চায়নি, নতুন প্রস্তাবেও সেগুলো উল্লেখ করা হয়নি৷ যেমন পেনশন ও বেতন কমানো এবং বিদ্যুতের উপর ভ্যাট বাড়ানো ইত্যাদি৷
জেডএইচ/এসবি (এএফপি, রয়টার্স)